,,,,সুনীল কুমার দে,,,
যে কোনো মানুষের গর্ব করার বস্তু হলো তার ভাষা,তার সংস্কৃতি ও তার ধর্ম।যদি কোনো মানুষ তার ভাষা কে ভুলে যায়, সংস্কৃতি কে ত্যাগ করে ও ধর্ম কে বর্জন করে তাহলে সে মানুষের পতন ও ধ্বংশ অনিবার্য্য।জীবনে তার আর গর্ব করার কিছু থাকে না।আজ ভারতীয় সমাজ পশ্চিমী ভাষা,সংস্কৃতি ও ধর্ম কে অনুকরন করে ধীরে ধীরে পতনের দিকে ও ধ্বংশের মুখে এগিয়ে চলেছে অথচ মজার বিষয় এই যে আমেরিকা,ইংল্যান্ড,রাশিয়া,অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশের বহু নর নারীরা আমাদের দেশের ভাষা,সংস্কৃতি ও ধর্ম কে মহান বলে তা গ্রহণ করছে।আজ আমাদের প্রতিটি ধর্ম স্থানে বিদেশিদের ভিড় আর আমাদের দেশের নর নারীরা সনাতন সংস্কৃতি ,ধর্ম ও ভাষা ভুলে বিদেশী ভাষা,সংস্কৃতি ও ধর্ম কে গ্রহণ করছে।আমাদের দেশের মহান পরম্পরা ও ঐতিহ্য গুলো কে বর্জন করছে ও সে গুলো কে কুসংস্কার বলছে।অনুকরণে বাঙালী সমাজ সবার আগে।আজ খুবই দুঃখের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি বাঙালী সমাজ সব থেকে বেশী উৎসৃখলের পথে এগিয়ে চলেছে।নিজেদের ভাষা,সংস্কৃতি,পোশাক পরিচ্ছদ,খাওয়া দাওয়া,পরম্পরা কে বর্জন করে কাকের মত ময়ূর পালক গুঁজে ময়ূর হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।বাংলা ভাষা পৃথিবীর সবথেকে সহজ,সরল,সুন্দর ও উন্নত ভাষা অথচ বাঙালীর ছেলে মেয়েরা আজ বাংলা জানে না,বাংলায় কথা বলতে লজ্জ্যা বোধ করে।শাড়ি ধুতি বাঙালীর প্রধান পরিচিত তা আজ ছাড়তে বসেছে সবাই।বিবাহিতা বাঙালী নারীর আদর্শ শাঁখা,সিঁদুর,আলতা সেগুলো কে পরাধীনতার চিন্হ বলে ত্যাগ করতে বসেছে।বাঙালী পরিবার আজ বিদেশী পরিবার দের মতো বিয়ে ও পার্টি তে সপরিবারে বসে মদ খায় ও অশ্লীল নাচ গান করে।আধুনিকতার দোহাই দিয়ে কোথায় চলেছে আজ বাঙালী সমাজ।একটু দাঁড়ান সবাই,একটু ভাবুন।পরের যা ভালো তা অবশ্যই গ্রহণ করুন তবে নিজেদের ভাষা,সংস্কৃতি,পরম্পরা ও ধর্ম কে বর্জন করে নয়।এখন ও সময় আছে ফিরে আসুন পথে।বাঙালী নুতন করে আবার বাঁচতে শিখুন।নিজেদের অস্তিত্ব কে রক্ষা করুন।